বাঁধাকপির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন কিছুকথা
সূচিপত্রঃবাঁধাকপির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
- বাঁধাকপির উৎপত্তি
- বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ
- বাঁধাকপির উপকারিতা
- বাঁধাকপির অপকারিতা
- শেষ কথা
বাঁধাকপির উৎপত্তিঃ বাঁধাকপির উৎপত্তি খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে ইউরোপে উৎপত্তি হয়েছে বলে জানা যায়। গ্রীস , ভারত, রাশিয়া, ডেনমার্ক , নেদারল্যান্ডস ,ফ্রান্স প্রভুতি দেশে বাঁধাকপি প্রধান প্রধান জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৬০ এর দশকে প্রথম বাঁধাকপির চাষ শুরু হয়।
বাঁধাকপির পুষ্টিগুণঃ বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে প্রতি 100 গ্রাম খাবার উপযোগী বাঁধাকপিতে যে উপাদান গুলো বিদ্যমান তা হলোঃ শর্করা 5.8গ্রাম, প্রোটিন ১.৩ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫ গ্রাম, ভিটামিন বি১ 0.06 মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি টু ০.০৫ গ্রাম, ভিটামিন সি ৬০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ৬.৪ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩১ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৮ মিলিগ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম , ক্যালরি 26 কিলো ক্যালরি , জিংক ০. ১৮ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম ,ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম।
আরও পড়ুনঃ পেয়ারার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অজানা কিছুকথা
বাঁধাকপির উপকারিতাঃ বাঁধাকপির উপকারিতা অতুলনীয়। নিম্নে বিস্তারিতভাবে বাঁধাকপির কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো।
ওজন কমাতেঃ বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা সব সময় পেট ভরাতে সাহায্য করে। খিদে কম হয়। যারা ওজন কমাতে চান তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বাঁধাকপি রাখুন।
কিডনি সমস্যা প্রতিরোধেঃ কিডনি সমস্যা প্রতিরোধে বাঁধাকপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে ডায়ালাইসিস করে থাকেন তাদের জন্য বাঁধাকপি খাওয়া খুবই উত্তম।
ত্বকের সমস্যাঃ সমস্যার সমাধানে বাঁধাকপির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ বাঁধাকপি ক্যান্সার সৃষ্টি কারী টিউমারকে ধ্বংস করে বাঁধাকপিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে ক্যান্সার মুক্ত রাখে।
আরও পড়ুনঃত্বক ভালো রাখার সর্ব উপায় বার্ধক্য নয় যৌবন সর্বময়
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ বাঁধা কপিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক গবেষণা দেখা গেছে যে, যারা প্রতিদিন বাঁধাকপি খান তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের থেকে অনেক বেশি।
পেট ব্যথা ও আলসারেঃ বাঁধাকপি পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে। অন্ত্রের আলসার কমাতে সাহায্য করে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী পাকস্থলীর আলসারে যারা বাঁধাকপি রস পান করেন না তাদের তুলনায় যারা বাঁধাকপি রস পান করেন তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেছেন। অতএব বলা যায় বাঁধাকপির ভূমিকা অতুলনীয়
হাড়ের সমস্যার সমাধানেঃ বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম যেসব উপাদান হাড়ের নানান সমস্যা দূর করে হাড়কে ভালো রাখে। তাই নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে হাড়ের সমস্যা সমাধান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ যে ১২টি রোগের উপশম হবে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুনে
বাঁধাকপির অপকারিতাঃ বাঁধাকপির অপকারিতা নেই বললেই চলে। আমরা যদি পরিমান মত বাঁধাকপি খেতে পারি তাহলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বাঁধাকপি বেশি পরিমাণ খেলে পরিপাকে অসুবিধা হয় । যার কারণে গ্যাস্ট্রিক বেড়ে যায় । বাঁধাকপির কারণে মাঝেমধ্যে পেট ফাঁপা ও হতে পারে । এজন্য আমরা এটা পরিমাণ মতো খাব।
শেষ কথাঃ উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে বাঁধাকপি আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। এখন বাঁধাকপি বারোমাস পাওয়া যায়। অতএব শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিনের সবজিতে বাঁধাকপি রাখা একান্ত প্রয়োজন। আমরা বাঁধাকপি খাব সুস্থ সবল শরীর গড়বো। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের আলোচনা এখানে শেষ করছি। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন । পুষ্পিতা আই টির সাথে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url