হিন্দু শাস্ত্র মতে সহবাস করার নিয়ম

বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার লিংক

হিন্দুধর্মে যৌন মিলন বা সহবাসকে খারাপ বা পাপ বা নোংরা বলে মনে করা হয় না। যৌন মিলন থেকে পাওয়া আনন্দ হল পরম আত্মার আনন্দময় সময়। প্রাচীন যুগে এমনকি তপস্বী ব্যক্তিদেরও সহবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এর অপরিহার্য উদ্দেশ্য হল মানব জাতির বংশবৃদ্ধি এবং ধারাবাহিকতা। তাই প্রাচীন কালে নারীরা সন্তানসম্ভবা হওয়ার জন্য প্রায়ই তাদের বিবাহের বাইরে পুরুষদের সহায়তা নিতেন। পুরুষরা তাদের সাহায্য করাকে বাধ্যতামূলক কর্তব্য মনে করত। হিন্দু ঋষিরা ব্রহ্মচর্য পালন করতেন।

সুতরাং প্রাচীন কালে হিন্দু দের যৌনতা সম্পর্কে একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। পুরুষরা বেশি নারীকে বিয়ে করেছে। হিন্দুধর্মে দেবতা, মানুষ ও অসুর সকলেই সহবাসের সাথে জড়িত। এক সময় ঐতিহ্যগতভাবে হিন্দুধর্মে যৌনতা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। তাদের মধ্যে ছাত্র ছিল আগে। তারা সম্পূর্ণ ব্রহ্মচর্য পালন করবে বলে আশা করা হয়েছিল তাদের শিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত। তারা নারীদের প্রতি লালসার দৃষ্টিতে তাকানো বা নারীদের স্পর্শ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আবার অনেক সময় বংশধর এবং পিতামাতার উপর গ্রহের খারাপ প্রভাব এড়াতে নির্দিষ্ট কিছু দিনে এবং নির্দিষ্ট মাসগুলিতে সহবাস নিষিদ্ধ ছিল।

হিন্দু শাস্ত্র মতে সহবাস করার নিয়ম অনেকেই জানতে চান। হিন্দু ধর্মে সহবাসের কিছু নিষিদ্ধ নিয়ম রয়েছে। এই প্রসঙ্গে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বলেঃ

খোলা জায়গায় সহবাস করা যাবে না অবশ্যই গোপনে সহবাস করা উচিত। আবার বিবাহিত ছাড়া সহবাস করা পাপ। তবে কোনো কোনো সময় আছে যখন নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাসেও নিষেধাজ্ঞা হতে পারে যেমন স্ত্রীদের মাসিকের সময় সহবাস করা উচিত নয়। তবে হিন্দু শাস্ত্র মতে সহবাস করার নিয়ম হলঃ

পৃথিবীতে যত ধর্ম রয়েছে হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবারই সহবাস করার নিয়ম একই রকম হয়। কিন্তু ধর্ম অনুযায়ী সবার মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য আছে। এখানে বলতে সবাই কিভাবে তাদের লিঙ্গ স্ত্রীর  যোনিতে প্রবেশ করায় তার বিভিন্ন কৌশল অনুসরণ করে থাকে। এই কৌশলটাই একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে।

কিন্তু এই কৌশলের মধ্যে কিছু ধর্মীয়ভাবে পার্থক্য থাকে বা নিষেধ থাকে। সহবাসের সময় কিছু কাজ থাকে যা করা ধর্মে নিষেধ থাকে। যেমন সহবাসের সময় স্ত্রীর যদি ইচ্ছা না থাকে তাহলে সহবাস করা উচিত নয়। আবার স্ত্রীর যোনিপথ ছাড়া অন্য জায়গাতে সহবার করা যাবে না ইত্যাদি নিয়ম রয়েছে। তবে আপনি যদি হিন্দু ধর্মের হতে থাকেন তাহলে হিন্দু শাস্ত্র মতে সহবাস করার নিয়ম আরো ভালোভাবে জেনে নিয়ে সহবাস করুন।

গর্ভধারণ করার জন্য সহবাস করার নিয়ম

• পিরিয়ডের ১ম ৪দিন, ১১তম দিন ও ১৩ তম দিনে সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই ৬ দিন বাদ দিয়ে বাকি ১০ দিনে সহবাস করলে আপনার গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা বেশি।
• এই ১০ দিনের মধ্যে যে কোনো একদিনে গর্ভধারণ করলে বাচ্চা সুস্থ, সুন্দর ও হেলদি হবে। এর মধ্যে ১০ম দিন বেশি ভালো তারপর ৯ম, ৮ম, ৭ম ক্রমে ক্রমে চলে আসবে।
• এই ১০ দিনের মধ্যে যদি অমাবস্যা, পূর্নিমা, চতুর্দশী, অষ্টমী ও সংক্রান্তির দিন গুলোতে সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত হিন্দু ধর্ম মতে। এই দিন গুলোতে শুক্র ও শনি দোষ থাকে।
• হিন্দু ধর্ম মতে রাতের প্রম দিকে সহবাসের পর যে সন্তান আসে সেই সন্তান রুগ্ন ও অল্প আয়ুর হতে পারে।
• মাঝ রাতে সহবাসের ফলে সন্তান আসলে তার জন্য খুব ভালো হয়।
• তবে যদি শেষ রাতে সহবাস করে সন্তান আসে তাহলে তার আয়ু বেশি হবে ও রোগ বেশি হবেনা। তাই রাতের শেষ সময় সহবাসের জন্য ভালো সময় যদি সন্তান নিতে চান।
• হিন্দু ধর্ম মতে সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে সহবাস করলে ভালো হবে। আর মঙ্গলবার রাতে সহবাস না করায় ভালো।
• সকাল বেলা, দুপুর বেলা ও সন্ধ্যা বেলাতে সহবাস করা ক্ষতিকর হতে পারে।
• আপনি যদি সন্তান ধারনের জন্য সহবাস করে থাকেন তাহলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে এবং খারাপ চিন্তা করা যাবে না আবার খালি পেটেও সহবাস করা উচিত নয়।
• যখন সন্তান পেটে আসবে তখন ভালো চিন্তা বা ধার্মিক চিন্তা করলে সন্তান ধার্মিক হবে হিন্দু ধর্ম মতে।

বিয়ে ছাড়া লিভ ইন রিলেশনশিপ সম্পর্কে হিন্দু ধর্ম কী বলে?

হিন্দু ধর্মে বিবাহ একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে একজন স্বামীকে শুধুমাত্র তার স্ত্রীর পিরিয়ডের সময় বা মাসিক চক্র শেষ হওয়ার ১৬ দিনের মধ্যে সহবাস করা উচিত। যাইহোক এই ১৬ দিনের মধ্যে ৬ দিন সহবাস করা এড়ানো উচিত তার মধ্যে পিরিয়ডের প্রথম ৪ দিন এবং ১১ তম এবং ১৩ তম দিন। আশা করি উপরের আলোচনা থেকে হিন্দু শাস্ত্র মতে সহবাস করার নিয়ম ভালোভাবে জানতে পারবেন। ২২৪৯৮