OrdinaryITPostAd

কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত

কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত সাধারণত আমরা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অজানা। যার ফলে পবিত্র কাবা শরীফের দিকে পা দিয়ে ঘুমিয়ে যাই। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত সে সম্পর্কে জেনে রাখা লাগবে। এই আর্টিকেলে কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত

কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত

মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রতিটি কাজের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আল্লাহ তায়ালার এবাদত পালন করার জন্য আমাদেরকে এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। অন্য সব কাজের মত ঘুমানোর সঠিক নিয়ম রয়েছে এবং সঠিক দিক রয়েছে। বেশ কিছু দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত নয়। তাহলে কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এই সম্পর্কে একজন মুসলিমকে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার লিংক

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, তোমাদের কেউ পায়খানায় গিয়ে কিবলামুখী হয়ে বসবে না এবং কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে ও বসবে না। এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে যদি আমরা পায়খানায় গিয়ে কাবা শরীফ এর দিকে বসি তাহলে এতে করে কাবা শরীফের অসম্মান হয়। এ কাজগুলো শরীয়তে সুস্পষ্ট ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যেহেতু পায়খানায় গিয়ে কাবা শরীফের দিকে বসলে কাবা শরীফের অসম্মান হয় সেহেতু যদি আমরা ঘুমানোর সময় কাবা শরীফের দিকে পা দিয়ে ঘুমায় তাহলে কতটা অসম্মান হবে একজন সুস্থ সবল মানুষ এ বিষয়টি অনুধাবন করতে পারে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে ফকিহগণ কাবা শরীফের দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে সম্পূর্ণ নিষেধ করেছেন।

ঘুমানোর ইসলামিক কিছু নিয়ম রয়েছে। কোন পাস হয়ে ঘুমাতে হবে এবং কোন দিকে ঘুমাতে হবে এই সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট নিয়ম বলা হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী ঘুমানোর সময় সব সময় ডান-কাত হয়ে ঘুমাতেন। কখনো চিত অথবা উপুড় হয়ে ঘুমাতেন না। তাই ঘুমানোর সময় আমাদেরকে ডান কাত হয়ে ঘুমাতে হবে। কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত বিষয়টিও জেনে নিতে হবে।

আমরা ইতিমধ্যেই জানলাম পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো অপছন্দনীয় কাজ। যেহেতু পশ্চিম দিকে আমাদের কেবলা অবস্থিত তাই সবসময় পশ্চিম দিকে মাথা এবং পূর্ব দিকে পা করে ঘুমানো উচিত। এতে করে ইসলামের আইন এবং আমাদের নবীজির বলা কথাগুলো মান্য করা হবে আর সব থেকে বড় বিষয় কাবা শরীফের অসম্মান করা হবে না।

পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কি জায়েজ

আমরা অনেক সময় আমাদের নিজেদের ভুলের কারণে পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমাই। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে যেহেতু আমরা পশ্চিম দিকে আমরা কেবলামুখী হয়ে সেজদা করি আল্লাহ তালাকে সেহেতু পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কি জায়েজ? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। বিভিন্ন হাদিসে পশ্চিম এবং উত্তর দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়েছে।

সাধারণত বিভিন্ন হাদিসে পশ্চিম এবং উত্তর দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কে হারাম মাকরুহ এবং অপছন্দনীয় কাজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর বিভিন্ন হাদিসে সরাসরি পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়েছে। যেহেতু প্রতিটি দিক আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি তাই সবদিকেই পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে অটো লাইক পাওয়ার উপায়

আমরা যেহেতু কেবলামুখী হয়ে সালাত আদায় করি সেহেতু আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, তোমরা তোমাদের চেহারাগুলোকে মসজিদুল হারামের দিকে ফিরিয়ে নাও। সাধারণত এই আয়াতে কেবলামুখী হতে আমাদেরকে নির্দেশ করা হয়েছে। যেন কেবলার সম্মান বজায় থাকে সাধারণত তাই একথা বলা হয়েছে। কোন প্রকৃত মুসলিম চাইবে না আল্লাহ তাআলার ঘর আমাদেরকে কেবলার সম্মান নষ্ট হোক।

যদি আমরা কেবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমাই তাহলে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ অমান্য করা হবে এবং সবথেকে বড় বিষয় হলো কেবলার অসম্মান করা হবে। আপনি যদি একেবারেই নিরুপায় হয়ে থাকেন তাহলে পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে পারেন কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অন্য অপশন থাকা সত্ত্বেও কেবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমানো সঠিক নয়।

কেবলার দিকে পা দিয়ে সোয়া কি হারাম

উপরের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যেই কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ঘুমানোর সময় সাধারণত আমরা কোন এক দিকে পা দিয়ে ঘুমাই। কিন্তু কিবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমানোর নিয়ে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরনের কথা প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলে থাকে কেবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমানো সম্পূর্ণ হারাম আবার কেউ বলে থাকে এটি হারাম নয়।

আপনাকে এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে কোন একটি বিষয় ততক্ষণ পর্যন্ত হারাম হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না হারাম হওয়ার বেশ কিছু দলিল পাওয়া যাবে। পশ্চিম দিকে পা রেখে ঘুমানোর নির্দিষ্ট দলিল পাওয়া যায় না। তাই পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো সম্পূর্ণ হারাম একথাটি বলা যাচ্ছে না। কিন্তু ইসলামিক দিক চিন্তা করে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আল্লাহ তাআলার ঘর পবিত্র কাবা পশ্চিম দিকে অবস্থিত।

তাই আমরা সকলেই চাই আল্লাহ তাআলার ঘরকে সম্মান করতে। কোন কারণে আল্লাহ তাআলার ঘরের অসম্মান হোক এটি কোন মুসলিম চাইবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আর যে কেউ আল্লাহর নির্দেশগুলো প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল তা তো তার হৃদয়ের আল্লাহ ভীতি প্রসূত।"{সুরা হজঃ ৩২} যেহেতু এই বিষয়ের কোন সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় না তাই এটিকে হারাম বলা যাবে না।

তবে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি অপছন্দনীয় কাজ। আমরা যখন সম্মানীয় কোন জিনিসের দিকে পা দেই তখন ওই জিনিসটার অসম্মান হয়। এটুকু বোঝার সামর্থ্য যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই কেবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমাবেন না। তবে আপনি যদি অনিচ্ছাই কেবলার দিকে পা দেন তাহলে সমস্যা নেই। কারণ আপনি অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে পা দেননি।

কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে হবে

একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই সকল ধরনের নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলতে হবে। কারণ ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিটি কাজের সওয়াব রয়েছে। আপনি যদি সঠিকভাবে সেই কাজগুলো করতে পারেন তাহলে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হয়ে উঠবেন। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু কাজ রয়েছে অবশ্যই আমাদেরকে ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী মেনে চলতে হবে।

ঠিক যেমন আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তখন ঘুমানোর কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী ঘুমানোর সময় ডান কাত হয়ে ঘুমাতেন এবং তিনি তার উম্মতকে এভাবে ঘুমাতে নির্দেশ করেছেন। তাই আমাদের উচিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কথামতো ডান কাত হয়ে ঘুমানো। এছাড়া ঘুমানোর সময় আমাদের পা কোন দিকে থাকবে এই বিষয়টিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিম এবং উত্তর দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কে অপছন্দনীয় কাজ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তবে আপনি যদি কোন উপায় না পেয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে এই দিকে পা দিয়ে ঘুমান এতে কোন সমস্যা নেই। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে পশ্চিম এবং উত্তর দিকে পা দিয়ে না ঘুমানো উচিত। ঘুমানোর সময় দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে হবে।

কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিতঃ উপসংহার

কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত? পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কি জায়েজ? কেবলার দিকে পা দিয়ে সোয়া কি হারাম? কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে হবে? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে মেনে চলতে হবে। কারণ বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। এ ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪